প্রকাশিত: Mon, Jul 17, 2023 1:03 AM
আপডেট: Tue, May 13, 2025 6:37 AM

[১]মহারাষ্ট্রে ৮০০ বছরের ঐতিহাসিক মসজিদ বন্ধ করলো বিজেপি [২]হিন্দু উপসনালয়ের ওপর তৈরির দাবি আরএসএসের

জুবাইদা জেরিন: [২] দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং আরও একটি হিন্দু গোষ্ঠীর অভিযোগের পর বিজেপি-নিয়ন্ত্রিত মহারাষ্ট্র রাজ্য কর্তৃপক্ষ মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল।

[৩] গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জলগাঁও জেলা কালেক্টর আমান মিত্তালের কাছে এই মসজিদ নিয়ে একটি আবেদন করেন ডান্ডাওয়াতে। ডান্ডাওয়াতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল আরএসএস এবং বজরং দলের সদস্য। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, মসজিদটি একটি হিন্দু উপাসনালয়ের ওপরে তৈরি করা হয়েছিল এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষের সেটি দখল করা উচিত। অভিযোগকারী আরও দাবি করেন, জুম্মা মসজিদ ট্রাস্ট জায়গাটি ‘অবৈধভাবে’ দখল করেছে।

[৪] জানা গেছে,  কট্টরপন্থি সংগঠনের দায়ের করা অভিযোগের শুনানি করার সময় জেলা কালেক্টর আকস্মিকভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন এবং এতে করে জলগাঁওয়ের ঐতিহাসিক এই মসজিদটি হঠাৎ করেই মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে প্রবেশ-অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অন্তর্বর্তীকালীন ওই আদেশে জেলা কালেক্টর ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করারও নির্দেশ দিয়েছেন। এই মসজিদটিকে ‘বিতর্কিত’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে তিনি তহসিলদারকে মসজিদের দায়িত্ব নিতে বলেন। মসজিদটি উত্তর মহারাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে নিবন্ধিত একটি সম্পত্তি।

[৫] কালেক্টরের আদেশ এবং তা পাস করার ক্ষমতা বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এরপরও জুম্মা মসজিদ ট্রাস্টের সদস্য আসলাম আশঙ্কা করছেন, অভূতপূর্ব এই আদেশটি রাজ্যের আট শতাব্দী প্রাচীন মসজিদকে ঘিরে সাম্প্রদায়িকতার সূচনা করেছে। প্রাচীন এই মসজিদকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকলেও সম্প্রতি ‘পাণ্ডবওয়াদা সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি অনিবন্ধিত সংগঠনের অভিযোগের কারণে মসজিদটি হঠাৎ করেই বিতর্কের জায়গা হয়ে ওঠে। অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম প্রসাদ মধুসূদন ডান্ডাওয়াতে।

 [৬] ১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে দেশটিতে পাস করা একটি আইনে পুরোনো স্থাপনা বা স্মৃতিস্তম্ভগুলোর ক্ষতি বা পুনরুদ্ধার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

[৭] এদিকে জুম্মা মসজিদ ট্রাস্টের সদস্যরা বলেছেন, তারা গত জুন মাসে একটি নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত এসব দাবি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ট্রাস্ট কমিটির অন্যতম অ্যাডহক সদস্য আসলাম বলেছেন, কালেক্টর শুনানি পরিচালনা করছিলেন। আর সীমিত সময়ের মধ্যে আমাদেরকেও আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। 

[৮] এর আগে গত ১১ জুলাই কালেক্টর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না